কলার বিভিন্ন প্রকার ও কলা খাওয়ার উপকারিতা।
কলার বিভিন্ন প্রকার ও কলা খাওয়ার উপকারিতা।
কলা খাওয়ার উপকারিতা
নানা রোগে কলা,
যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাঁদের পাকা কলা খাওয়া উচিত। এতে ফাইবার থাকায় পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আবার পেট খারাপের সমস্যায় ভুগলে কাঁচকলা খেলে উপকার পাবেন। কলা পটাশিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ ।
কলা পরিচিতি:
কলার বৈজ্ঞানিক নাম-Musa Sapientum, এবং কলার ইংরেজি নাম হলো Banana. বিশ্বের সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে কলা উৎপন্ন হয়!
পাকা অবস্থায় খাওয়ার জন্য কলার জাত ৪ প্রকার যথা:
১। সম্পূর্ন বীজমুক্ত কলা:
সম্পূর্ন বীজমুক্ত কলা হলো- সবরি, অমৃতসাগর, অগ্নিশ্বর, দুধসর, দুধসাগর ইত্যাদি।
২। দু-একটি বীজযুক্ত কলা:
চাম্পা, চিনিচাম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঠালী ইত্যাদি হলো দু-একটি বীজযুক্ত কলা।
৩। বীজযুক্ত কলা:
এটেকলাতে বীজ থাকে। যেমন; বতুর আইটা, গােমা, সাংগী আইটা ইত্যাদি।
৪। আনাজী কলাসমুহ:
যেমন; ভেড়ার ভােগ, চোয়াল পউশ, বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়ের বাতি ইত্যাদি।
কলা খাওয়ার উপকারিতা:
০১. ডায়রিয়া হলে কলা খাওয়ার উপকারিতা:
ডায়রিয়া হলে শরীর পানি শূন্য হয়ে যায় এবং শরীর থেকে প্রয়ােজনীয় পটাশিয়াম বের হয়ে যায়। তাই; এসময়ে কলা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দূর হবে এবং হার্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
০২.কলাতে ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে:
কলায় ফ্যাটি এসিডের চেইন আছে; যা ত্বকের কোষের জন্য ভালাে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও; এই ফ্যাটি এসিড চেইন পুষ্টি গ্রহণ করতেও সাহায্য করে।
০৩ .কলা মর্নিং সিকনেস দূর করে:
কাজের চাপ, মানসিক চাপে অনেক সময়ই সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বােধ করি আমরা! রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় এনার্জির মাত্রাও থাকে। এই সময় কলা খাওয়ার ফলে বজায় থাকে রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা।
০৪.কলা স্নায়ু শান্ত রাখে:
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি; যা আমাদের স্নায়ুকে শান্ত করে। আবার, মানসিক চাপ কাটাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি প্রয়ােজনীয় কলা! কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে; স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
০৫.কলা নিকোটিনের প্রভাব দূর করে:
ভিটামিন বি৬, বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম শরীর থেকে নিকোটিনের প্রভাব দূর করতে সাহায্য করে! সুতরাং, ধূমপান ছেড়ে দেবার জন্য কলা খাওয়ার জুড়ি নেই।
০৬.স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে:
গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিনকার খাদ্যা অভ্যসে কলা রাখলে ৪০% স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
০৭.স্ট্রেস কমাতে কলা:
পটাশিয়াম আপনার হার্টবিট ঠিক রাখে। অক্সিজেন, মস্তিষ্কে নিয়মিত পৌঁছে দেয়; শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে! আর কলাতে পটাশিয়াম প্রচুর আছে।
০৮.কলা আঁচিল দূর করে:
কলা ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ভাবে আচিল থেকে মুক্তি পাওয়ার এটা একটি প্রাচীন উপায়! ১মে একটি পাকা কলা নিন। আপনার আচিলের ওপর, উপুড় করে স্থাপন করুন! এবার তার ওপরে সার্জিক্যাল টেপ পেচিয়ে রাখুন।
০৯কলা খেলে রক্ত উৎপন্ন হয়:
কলায় প্রচুর আয়রণ বা লৌহ আছে; যা রক্তে হিমােগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে; যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন, তাদের জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী।
১০.কলা খাওয়ার ফলে পাকস্থলী ভালো থাকে:
কলা খাওয়ার ফলে বুক জ্বালা পােড়া কমে যায়; এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর এসিড হতে দেয় না। তাই; বুক জ্বালাপােড়া সমস্যায় প্রতিদিন ভরা পেটে একটি করে কলা খেলে উপকার হবে।
১১.শক্তির উৎস কল:
কলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালােরী আছে। তাই; মাত্র একটি কলা খেলেই অনেক সময় পর্যন্ত সেটা শরীরে শক্তি যােগায়।
১২.কলা দূর্বলতা কাটায়:
অতিরিক্ত জ্বর কিংবা হঠাৎ ওজন কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এসময়ে; কলা খেলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে এবং তাড়াতাড়ি দুর্বলতা কেটে যায়।
১৩.কলা অতিরিক্ত ওজন কমাবে:
অনেকে মন খারাপ থাকলে কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকলে নিজের অজান্তেই জাংক ফুড খেতে থাকেন! এরকম চাপে থাকলে আমাদের ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখা প্রয়ােজন; যা প্রতি দুই ঘন্টায় একটি কলা খেলে সুগার ঠিক রাখা সম্ভব।



.jpg)

Comments
Post a Comment